বার্তা পরিবেশক:
কক্সবাজারের টেকনাফ শাহপরীর দ্বীপ থেকে সেন্টমার্টিন পর্যন্ত সমুদ্রে সাঁতার কেটে বাংলা চ্যানেল জয় করলো ১০ বছর বয়সী শিশু সৈয়দা লারিসা রোজেন। মাত্র ১০ বছর ৪ মাস বয়সেই চতুর্থ শ্রেণি পড়ুয়া লারিসা জয় করে নিয়েছে কঠিন সমুদ্রকে।
সোমবার ২০ ডিসেম্বর সকাল পৌনে ১১টায় টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ পশ্চিম পাড়ার সমুদ্র সৈকত থেকে সেন্টমার্টিনের উদ্দেশে বাংলা চ্যানেলে সাঁতার শুরু করেন ৮০ জন সাঁতারু।
তাদের সাথে শাহপরীর দ্বীপ থেকে সাগর জলে সাঁতার শুরু করে লারিসা। ১৬ দশমিক এক কিলোমিটার সাঁতার কেটে লারিসা পৌঁছায় সেন্টমার্টিন। এরমধ্য দিয়েই লেখা হলো বাংলাদেশি শিশুর বাংলা চ্যানেল জয়।
লারিসার সঙ্গে সাঁতারে অংশ নিয়েছেন তার বাবা সৈয়দ আক্তারুজ্জামান ও বড় ভাই সৈয়দ আরবিন আয়ানও। বাবা ও দুই সন্তানের একসঙ্গে অংশ নেওয়াটাও বাংলা চ্যানেলে একটা রেকর্ড। এদিকে রেসকিউ দল বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের সঙ্গে নৌকায় ছিলেন তার মা।
‘১৬তম ফরচুন বাংলা চ্যানেল সাঁতার-২০২১’ এর আয়োজনে সোমবার (২০ ডিসেম্বর) সকালে টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ থেকে সাঁতার কেটে সেন্টমার্টিন পর্যন্ত বাংলা চ্যানেল জয়ের এই আয়োজন করেন।
শাহ্পরীর দ্বীপের পশ্চিম সৈকত থেকে শুরু হওয়া এই সাঁতার শেষ হয় ১৬ দশমিক ১ কিলোমিটার দূরত্বের বাংলা চ্যানেল পাড়ি দিয়ে সেন্ট মার্টিন দ্বীপে। ‘ষড়জ অ্যাডভেঞ্চার’ ও ‘এক্সট্রিম বাংলা’ সাঁতারের এই আয়োজন করে।
এবারের ৮০ জন সাঁতরুরের মধ্য ১ জন বিদেশি, ১ জন নারী ছিল। তবে সবচেয়ে কম সময়ে এটি পাড়ি দেওয়ার গৌরব অর্জন করেন ১০ বছরের সৈয়দা লারিসা রোজেন। তীব্র ঠান্ডা ও সাগরের ঢেউ তাদের বাঁধা দিয়ে রুখতে পারিনি একবারও।
১০ বছরের শিশু লারিসার সাঁতারের সাথে সর্বোচ্চ সংখ্যক ব্যক্তির অংশগ্রহণে এবারের আয়োজন বিভিন্নভাবেই বিশেষ হয়ে উঠেছে বলে জানান আয়োজকরা।
পানিতে ডুবে যাওয়া থেকে নিজেকে রক্ষা ও স্পোর্টস অ্যাডভেঞ্চারকে উৎসাহিত করে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতের পাশাপাশি এই চ্যানেলকে আন্তর্জাতিকভাবে পরিচয় করানোই এই সাঁতারুদের উদ্দেশ্য বলে জানান তারা।
এছাড়া বাংলাদেশের তরুণ ও যুবসমাজকে মানসিক ও সামাজিক অবক্ষয়ের হাত থেকে রক্ষা করতে ১৩ বছর ধরে এই সাঁতারের আয়োজন হয়ে আসছে বলেও উল্লেখ করেন তারা।
প্রসঙ্গত, ১৬ দশমিক ১ কিলোমিটার দূরত্বের বাংলা চ্যানেল আবিষ্কার করেন প্রয়াত কাজী হামিদুল হক। ২০০৬ সালের ১৪ জানুয়ারি প্রথমবারের মতো বাংলা চ্যানেল সাঁতার অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সেবার সাঁতারে অংশ নিয়েছিলেন লিপটন সরকার, ফজলুল হক সিনা ও সালমান সাইদ।
সাঁতারের প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে আছেন বাংলাদেশ এডিবল অয়েল লিমিটেডের ব্র্যান্ড ফরচুন। রেসকিউ পার্টনার হিসেবে রয়েছে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড। অংশীদার হিসেবে আরও আছে বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন, বাংলাদেশ পর্যটন বোর্ড, ইউনাইটেড সিকিউরিটিজ, সাউথ বাংলা অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স ব্যাংক লিমিটেড, ষড়জ, ভিসা থিং ও স্টুডিও ঢাকা।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।